সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না

‘ সব দল যদি না আসে, নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয় তাহলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তাই যেকোনো মূল্যে সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।’

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ও নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিবরা এমন মত দিয়েছেন।

রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাবেক সিইসি, ইসি ও ইসি সচিবদের মতবিনিময়ে তারা এমন মতামত তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভায় সাবেক ২৮ জন সিইসি, ইসি ও ইসি সচিব–অতিরিক্ত সচিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের মধ্যে ১০ জন অংশ নেন।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, ‘ আগামী নির্বাচনে সব দল যদি না আসে, তাহলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। সুতরাং কীভাবে আনবেন, আপনারা কী অফার করবেন, তার ওপর নির্ভর করবে। আমার সময়ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ওয়াজ প্রবলেমেটিক। তাদের আনতে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছে। এখন তারা যেসব কথা বলছে, তাতে তো মনে হয়, তারা নির্বাচনে যেতে রাজি নয়।’

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে সবাই মনে করবে, নির্বাচন ভালো হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ইনভলব (যুক্ত) হতে পারবে না। যদি তারা ইনভলব হয়ে যায়, তাহলে দেখবে যে কিছুই করা যাচ্ছে না। আমাদের সময় যারা নির্বাচন বর্জন করেছিল, তাদের আনার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সেটা হয়নি। অনেক সহিংসতা হয়েছে। ওই সময় নির্বাচন না হলে ওই সময় সহিংসতা আরও হতো। যারা সরকারি দল, তারা চিন্তা করবে দলগুলোকে কীভাবে নির্বাচনে আনা যায়।

নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশন সব দলকে ভোটে আনতে সক্ষম হলে ৮০ ভাগ কাজ হয়ে গেল।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।