“লন্ডনে এফএনএইচএফ ইউকে কর্তৃক প্রফেসর ডা. আমিনুর রহমান লস্কর ও ডা. আলতাফুর রহমানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান”

প্রতিবেদক: পলি রাহমান,

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের জেনারেল সেক্রেটারি, প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আমিনুর রহমান লস্কর এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. আলতাফুর রহমান-কে এক বিশেষ সংবর্ধনা দিয়েছে ফ্রেন্ডস অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল সিলেট (এফএনএইচএফ) ইউকে।

২১ জুলাই, সোমবার, পূর্ব লন্ডনের সোনারগাঁও রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি, চ্যানেল এস টিভির চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইউকে কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি মনসুর আহমদ খান।

প্রারম্ভিক কোরআন তেলাওয়াত করেন আশরাফ চৌধুরী জাহান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি মিছবাহ জামাল। অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মাননা পর্ব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. আমিনুর রহমান লস্কর বলেন, “২০০৫ সালে মাত্র ৪ লাখ টাকা নিয়ে শাহি ঈদগাহে ১০০ ডেসিমেল জমি কেনা ও ভবনের সূচনা প্রবাসীদের ঐতিহাসিক অবদান। এখন পর্যন্ত ৪৫ কোটি টাকার সরকারি বরাদ্দ এবং প্রবাসীদের অনুদানে ৯তলা হাসপাতাল ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।” ভবিষ্যতেও প্রবাসীদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

ডা. আলতাফুর রহমান তাঁর বক্তব্যে এফএনএইচএফ ইউকে’র এ আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং হাসপাতালের দাতাদের ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষে আরও বক্তব্য দেন এস আই আজাদ আলী, এম শামসুদ্দিন, বজলুর রশীদ এমবিই, ডা. আলাউদ্দিন আহমেদ, মানিক মিয়া, আবদাল মিয়া, রফিক মিয়া, আব্দুল মুনিম জাহেদি, মুহিব উদ্দিন চৌধুরী, পলি রহমান, ডা. মাসুক আহমদ, শেখ ফারুক আহমেদ, মোহাম্মদ অহিদ উদ্দিন প্রমুখ।

ইভেন্টে আরও উপস্থিত ছিলেন—বারিস্টার মাসুদ চৌধুরী, মোহাম্মদ ওয়ারিছ আলী, রেজাউল করিম মৃধা, সুয়েব কবির, আলাউর রহমান খান শাহিন, নাদির মজুমদারসহ কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা।

অনুষ্ঠানে নতুন কয়েকজন অনুদানদাতা সদস্য হিসেবে নাম লেখান। অনুদানের ঘোষণা দেন আংগুর আলী, গুলজার খান, মনির আহমদ, তোফাজ্জল আলম, সিরাজ উদ্দিন, প্রভাষক আব্দুল হাই এবং আব্দুল মুকিত।

সংগঠনের চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, “ইউকে কমিটির সক্রিয় উদ্যোগে প্রায় ৮০ লাখ টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার অর্থ সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে।” ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে ফান্ডরেইজিং নেটওয়ার্ক গড়ার কথাও তিনি জানান।

অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজন করা হয় নৈশভোজের, যা প্রাণবন্ত মিলনমেলায় রূপ নেয়।