ইস্টহ্যান্ডস ইয়ুথ সামার ট্রিপ ২০২৫: আনন্দ, শিক্ষা ও ঐক্যের এক দিন

২ আগস্ট ২০২৫, নীল আকাশ ঢেউয়ের গর্জন আর তরুণদের উচ্ছ্বাসে ভরপুর যেন ইংল্যান্ডের বিখ্যাত বর্নমাউথ সমুদ্রসৈকত। আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য সংস্থা ইস্ট হ্যান্ডস চ্যারেটি ইউকে-এর উদ্যোগে এবং বিবিসি চিলড্রেন ইন নিড-এর সহায়তায় অনুষ্ঠিত ইস্টহ্যান্ডস ইয়ুথ সামার ট্রিপ ২০২৫ রূপ নেয় এক স্মরণীয়, শিক্ষণীয় ও আনন্দঘন মিলনমেলায়।

পুরোপুরি বিনামূল্যে আয়োজিত এই দিনব্যাপী ইভেন্টে তরুণরা উপভোগ করেছে প্রকৃতির সৌন্দর্য, খেলাধুলা এবং দলগত কার্যক্রম। ছিল বাস্কেটবল, আউটডোর ব্যাডমিন্টন, নারীদের জন্য আলাদা গেমস, কুইজ প্রতিযোগিতা, র‍্যাফেল ড্র এবং আরও নানা বিনোদনমূলক কার্যক্রম। শিশু, পরিবার ও সব বয়সী মানুষের জন্য পরিবেশ ছিল হাসি, আনন্দ আর মধুর স্মৃতিতে ভরা।

ইস্টহ্যান্ডস-এর ইভেন্ট সমন্বয়কারী সুহান খান বলেন—আমাদের তরুণদের জন্য এই অভিজ্ঞতা দিতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। এটি শুধুমাত্র একটি সমুদ্রসৈকত ভ্রমণ নয় — এটি মানুষকে একত্রিত করার, সক্রিয় থাকার এবং দীর্ঘস্থায়ী আনন্দের মুহূর্ত তৈরির একটি উপায়।
সংস্থার চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সাংবাদিক নবাব উদ্দিন বলেন—এটি ইস্ট হ্যান্ডস চ্যারেটির জন্য একটি বড় অর্জন। অংশগ্রহণকারী, স্বেচ্ছাসেবক ও সংগঠকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ছাড়া এই আয়োজন সম্ভব হতো না। ভবিষ্যতেও আমরা এমন উদ্যোগ চালিয়ে যাব।তিনি বিশেষ ধন্যবাদ জানান— আব্দুল মুক্তাদির শামিম, শিপন, নিপা, হুমায়রা, লিমা এবং সুহান-কে তাঁদের নিবেদিত সহায়তার জন্য।

ইস্টহ্যান্ডস কেবল একটি চ্যারিটি নয়—এটি একটি কমিউনিটি প্ল্যাটফর্ম, যা মানসিক সুস্থতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে। এর কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে যুব ফুটবল, শিশু ও নারীদের ব্যাডমিন্টন, আফটার-স্কুল ক্লাব, বাগান ও চাষাবাদ সেশন, কার্বন রিডাকশন কর্মশালা এবং পরামর্শমূলক সেবা।

আজকের বিশ্বে যেখানে প্রযুক্তি আমাদেরকে ক্রমশ ব্যক্তিগত পরিসরে আটকে দিচ্ছে, সেখানে ইস্টহ্যান্ডস ইয়ুথ সামার ট্রিপ–এর মতো আয়োজন তরুণদেরকে বাস্তব জীবনের সামাজিক বন্ধনে যুক্ত করে। এমন একটি দিনে শুধু হাসি আর খেলা নয়, তৈরি হয়েছে বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সহযোগিতার মনোভাব। এটি প্রমাণ করে—একটি সঠিক পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অনুষ্ঠান সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের সোপান হতে পারে। ইস্টহ্যান্ডস-এর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি উজ্জ্বল উদাহরণ, যা ভবিষ্যতের প্রজন্মকে আরও সহমর্মী ও ঐক্যবদ্ধ হতে অনুপ্রাণিত করবে।