লন্ডনের নিউহামে ‘law traffic neighborhood, LTN scheme’ এর আওতায় West Ham park এরিয়ায় LTN স্থাপনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৬ ই ডিসেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যায় স্ট্রাটফোর্ড টাউন হলের সামনে এর আয়োজন করা হয়। ‘ওয়েস্ট হ্যাম পার্ক’ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক বাসিন্দা এতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবাদ সভায় ‘ওয়েস্ট হ্যাম পার্ক’ এরিয়াতে নিউহাম কাউন্সিল ‘Law Traffic Neighborhood Scheme’ এর আওতায় ক্যামেরা স্থাপন, রাস্তা বন্ধ ও মডেল ফিল্টার স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন”Say No to LTN “ in West ham park Campaign এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকির খান , জয়েন্ট সেক্রেটারী শেখ হালিম ও সেক্রেটারি রুকন চৌধুরী, মিস্টার জেক, রিয়াজ আহমদ, কাউন্সিলর মাহমুদ মির্জা , সৈয়দ আহমেদ আলী (সিস্টারদের নাম) প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে, LTN কিভাবে West Ham park resident দের উপর প্রভাব ফেলছে তা তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন,
রাস্তায় মডেল ফিল্টার স্থাপন করায় যাতায়াতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে। রমফোর্ড রোড, ভিকারেজ লেন, আপটন লেন এবং পোর্টওয়েতে যানজট বেড়েছে। রাস্তায় চলাচলকারী ছাত্রছাত্রী, পথচারী এবং সাইকেল চালক প্রত্যেকে অতিরিক্ত বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ও নিরাপত্তাহীনতার শিকার হচ্ছেন। ক্ষতির মুখে পড়ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা, বিঘ্নিত হবে ইমার্জেন্সি সার্ভিসও।
স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন নিউহ্যাম কাউন্সিল LTN Scheme এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এলাকার সাধারণ নাগরিকদের সাথে সঠিকভাবে পরামর্শ করেনি এবং জনগণের মতামতের উপেক্ষা করে জোর পূর্বক তা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
অত্র এলাকার বাসিন্দা ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট সৈয়দ আহমদ আলী বলেন, ‘Law Traffic Neighborhood Scheme’ এর আওতায় কথিত উন্নয়ন কিছুসংখ্যক মানুষের উপকারে আসলেও সামগ্রিকভাবে একটা বড় অংশকে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে ফেলবে। এর মূল কারণ কাউন্সিল গুটিকয়েক মানুষের কথা শুনেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে। হামপার্ক রোড বন্ধের ফলে তার বিরূপ প্রভাব আশেপাশের অন্যান্য রোডের উপর গিয়ে পড়েছে। স্পষ্টতই এটি মানুষের প্রতি বৈষম্য ও অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।
গত দুই সপ্তাহ ধরে চলে আসা Say No to LTN Campaign এ পর্যন্ত প্রায় ২৪০০ মানুষ রাস্তার ক্যামেরা ও ব্লক অপসারণ এবং জনসাধারণের জন্য রাস্তা উন্মুক্ত করে দিতে পিটিশন সাইন করেছেন।
পিটিশনটি গত ১৬ ই ডিসেম্বর কাউন্সিল সভায় নিউহামের মেয়র রোকসানা ফাইয়াজের কাছে স্থানীয় কাউন্সিলর এনামুল ইসলামের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হলে তা গৃহীত হয়।
ক্যাম্পেইন টিমের সাধারণ সম্পাদক শেখ হালিম ও রুকন চৌধুরী, উপদেষ্টা জনাব ড. মোহাম্মেদ আলি ফারমার , মিসবাহ উদ্দিন ও সুজা চৌধুরী সাহেব সকল সদস্য, প্রতিবেশী ও ভলিন্টিয়ার সহ মানবন্ধনে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানান।
পরিশেষে তারা উল্লেখ করেন, লোকাল ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মেয়রের সাথে শীঘ্রই আলাদা সভা ডেকে পুনরায় এ নিয়ে আলোচনা করা হবে যাতে দ্রুত সময়ে এর সঠিক সমাধান করা হয় এবং জনগণের চাহিদা অনুযায়ী West Ham Park এরিয়ার LTN scheme তুলে নেয়া হয়।
