বৃটেন
ইস্ট লন্ডন মসজিদের ব্যতিক্রমী প্রয়াস: ইমামদের অংশগ্রহণে ফুটবল টুর্নামেন্টে গাজাবাসীর জন্য সহমর্মিতার বার্তা
২১ জুলাই ২০২৫: ইস্ট লন্ডন মসজিদের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগে ডেগেনহ্যামের ক্যাসেল গ্রীন ফুটবল মাঠে আয়োজিত হলো এক অনন্য ফুটবল প্রতিযোগিতা ‘মিনারেট কাপ’ ২০২৫ । যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন মসজিদ থেকে অংশ নিয়েছেন ৩০ জন ইমাম। ধর্মীয় আবরণে আবৃত এমন একটি ক্রীড়া আয়োজনে ফুটবল মূল আকর্ষণ হলেও এর অন্তর্নিহিত বার্তা ছিল মানবিকতা, সহমর্মিতা এবং একতার।
এই ব্যতিক্রমী আয়োজনে ১৬ হাজার পাউন্ডেরও বেশি তহবিল সংগৃহীত হয়েছে, যা সরাসরি গাজার নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। খেলার মধ্যে দিয়ে হৃদয়ের সংযোগ গড়ে তোলার এই প্রয়াস উদাহরণ ভাবে প্রশংসনীয় হয়ে ওঠে বলে জানান উদ্যোক্তারা ।
খেলার মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দুইটি প্রতীকী দল গাজা ইউনাইটেড ও অলিভ ব্রাঞ্চ। নব্বই মিনিটের এক মনোমুগ্ধকর লড়াইয়ে গাজা ইউনাইটেড ৫-২ গোলের ব্যবধানে জয়ী হয়। মাঠে যেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তাপ ছিল তেমনি গ্যালারিতে ছিল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ঐক্যের জোয়ার।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ইস্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম জুনায়েদ আহমদ, তিনি বলেন,এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরের মসজিদের ইমাম একত্রিত হয়েছেন এক মঞ্চে ।খেলাধুলার মাধ্যমে সমাজের জন্য ইতিবাচক বার্তা সমাজে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আশা করি ।
অন্যদিকে টুর্নামেন্টের প্রধান সমন্বয়ক ও ইস্ট লন্ডন মসজিদের সিনিয়র ইমাম সৈয়দ আনিসুল হক বলেন,ইমামগণ শুধুই খুতবা প্রদানকারী নন,তারা সমাজের প্রাণ। শারীরিকভাবে সুস্থ হলে মানসিকভাবে দৃঢ় এবং সামাজিকভাবে সচেতন নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন ।
মুসলিম এইড-এর কমিউনিটি ফান্ডরেইজিং ম্যানেজার ফারহাল আহমদ বলেন,ইমামদের এই উদ্যোগ সমাজের ভিন্ন প্রান্তে ইতিবাচক ঢেউ তুলেছে। যখন ধর্মীয় নেতারা খেলাধুলাকে মনেপ্রাণে বহন করলে সমাজে আশা ও উদ্দীপনার নতুন আলো জ্বলে ওঠবে ।
‘মিনারেট কাপ’ হয়ে উঠেছে একতার মিনার, সহানুভূতির প্রতিচ্ছবি।
এই টুর্নামেন্ট প্রমাণ করল ধর্ম শুধু আধ্যাত্মিক চর্চায় সীমাবদ্ধ নয়; এর পরিসর ছুঁয়ে যেতে পারে ক্রীড়াঙ্গন, সমাজসেবা ও আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা পর্যন্ত।
