স্মৃতিস্মারকের পাঠউন্মোচন ও আলোচনা সভা

ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান বলেছেন, আলহাজ সৈয়দ আতাউর রহমান ছিলেন ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদের জন্য প্রেরণার উৎস। তিনি সর্বদা বাতিলের মোকাবিলায় সোচ্চার ছিলেন। ইসলামি আন্দোলনের এই অগ্রসৈনিক সত্যের পক্ষে নির্ভিক ছিলেন। তিনি আজীবন খেলাফত প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে গেছেন।

আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর ইউনাইটেড কমিউনিটি সেন্টারে আলহাজ সৈয়দ আতাউর রহমান (র.) স্মৃতিস্মারক ‘বিপ্লবী সৈয়দ’-এর পাঠউন্মোচন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আলহাজ সৈয়দ আতাউর রহমান (র.) ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দীন আহমদ, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহিবুর রহমান, দরগাহ হযরত শাহজালাল (রহ.) মাদরাসার মুহাদ্দিস ও শিক্ষাসচিব মাওলানা আতাউল হক জালালাবাদী, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নাইওরপুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা হাফিজ নজমুদ্দীন কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা সামিউর রহমান মুসা ও সিলেট মহানগর খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান।

ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ রেজওয়ান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মরহুমের বড় ছেলে কবি ও গবেষক সৈয়দ মবনু।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দীন আহমদ বলেন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আলহাজ সৈয়দ আতাউর রহমানের চিন্তা-চেতনায় ছিল আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা। তিনি দ্বীনের এক আন্তরিক খাদেম ছিলেন। আলেম না হলেও আমলের দিক থেকে ছিলেন উচ্চমানের আলেমদের মতো। প্রতিটি কাজে তিনি সুন্নতের অনুসরণ করতেন। দ্বীনি আন্দোলনের জন্য যেখান থেকেই ডাক আসতো, সেখানেই হাজির থাকতেন।

জামিআ সিদ্দিকিয়ার শিক্ষাসচিব মাওলানা আফতাবুজ্জামান হেলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক ফায়যুর রাহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট মহানগর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা খায়রুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের সিলেট মহানগরের সহসভাপতি কারী মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, সিলেট মহানগর খেলাফত মজলিসের সহসভাপতি আব্দুল হান্নান তাপাদার, সিলেট জেলা খেলাফত মজলিসের সহসভাপতি মাওলানা শামসুদ্দিন ইলিয়াস ও মরহুমের ছেলে সাংবাদিক সৈয়দ নাসির আহমদ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আলহাজ আতাউর রহমান (র.)-এর মধ্যে হক ও বাতিলের পরিচয় স্পষ্ট ছিল। আল্লাহ পাক তার হৃদয় ও মনকে ইসলামের জন্য খুলে দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন পরিপূর্ণ দ্বীনের অনুসারী। অনুষ্ঠানে বক্তারা ইসলামি ঐক্যের প্রতি জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইসলামি ঐক্যের বিকল্প নেই। দল-মতের উর্ধ্বে উঠে ঐক্যের মাধ্যমে খেলাফত রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব। যে রাষ্ট্রের স্বপ্নে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন আলহাজ সৈয়দ আতাউর রহমান।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক জাবেদ আহমদ, আঞ্জুমানের তালিমুল কুরআন বাংলাদেশের মহাসচিব কারী ইমদাদুল হক নোমানী, দারুল আজহার মডেল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মনজুরে মাওলা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ইমদাদুর রহমান চৌধুরী, ড. তুতিউর রহমান, নাগরিক আলেমসমাজের প্রধান সমন্বয়ক নোমান বিন আরমান, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য লিটন আহমদ জুম্মান, সিলেট পূর্ব জেলা সভাপতি মুজিবুর রহমান খান, সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরান প্রমুখ।