নিজের কাছে নিজে পরিষ্কার, অন্যের ধারিনা ধার!

আমাদের সমস্যা আমরা নিজের কাছে নিজের ক্ষেত্রে ১০০% পরিষ্কার। শুধু অন্যের ক্ষেত্রে সোচ্চার,”সে মন্দ, তার নেই ছন্দ, সে গোয়ার, তার সব অপরিষ্কার”! সমালোচনাও আমরা নিজের করিনা, করি অন্যের। নিজের অন্যায়কে চোখে দেখিনা, দেখি অন্যে কোনো অন্যায় করবে! একজন মানুষ কখনোই পূর্ন শুদ্ধ নই এই বিষয়টায়ও নিজের ক্ষেত্রে ভালো, অন্যের ক্ষেত্রে মন্দ।

একটা গোজামিল জাতিকে পূর্ন স্বাধীনতা দেয়ার কুফলই বেশী, সুফল খুঁজতে হয় এদিক সেদিক। বাঙালি হিসেবে আমি বুঝি বাংলাভাষা, বাংলা সংস্কৃতি, বাংলার আদিপান্ত। আমি নিজেও বলছিনা ধোয়া তুলসীপাতা, কারন আমিও এই গোজামিল জাতির অংশ (ক্ষুদ্রতম)। কিন্তু সবকিছুর পরে আমি অন্যের মন্দ দেখি প্রথম কিন্তু তার ভালোকে অবজ্ঞা করে নয়। গত আওয়ামী সরকার যথেষ্ট ভুলের পথে হেটেছে, কিন্তু এই সরকারের আমলেই বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, পেয়েছে হাজারো সু-স্বীকৃতি। কেউ সেইকথাগুলো একবারও উচ্চারণ করিনা।

প্রশ্ন করলেই উত্তর,”বাক স্বাধীনতা হরণকারীদের সাথে লড়াই করে লাভ নেই”! আসলে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার মোক্ষম উত্তরযে এটি কেউ স্বীকার করিনা। ঐযে নিজের ভুল দেখিনা নিজে! যখন আওয়ামী সরকার শোষন, নিপীড়ন, গুম, হত্যা করছিলো তখন আমরা কেউ ফেসবুকের পাতায় পাতায় একটা দোহাই দিয়ে আলোচনা, সমালোচনার ঝড় তুলিনি,”আমি আমার পরিবারও হুমকির মুখে পরবে”! আচ্ছা ঠিক আছে আপন জান বাঁচানো ফরজ মেনেই নিলাম। কিন্তু এই অন্যায়ের প্রতিকারের জন্য কি নিশ্চিতপুরে বসেই কোনো পরিকল্পনা করেছি??? না করিনি, ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো আমরা কেনো করতে যাবো।

যদি তাই হয়, তবে এখন নিজের খেয়ে কি করছি? সেই বনের মোষই তাড়াচ্ছি। অথচ একটু লক্ষ্য করে দেখুন। বর্তমান (বাংলার স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি কিন্তু জুলুমের কাছে নত হয়েই ধীরে ধীরে আড়ালে থেকে সংগঠিত হয়েছে। তার সুফলতো আমরা পাচ্ছিই। বাক স্বাধীনতা, “আরে চুপ থাইক্যা দেহেন এইবার নিশ্চিতপুরে থাইক্যাও বোরখা পইরা হাটবেন”!

ফজলুল বারী বাবু,
১৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং,
সকাল- ০৯:০২ মি:,
লায়ের ভাল্ড, ভিয়েনা।